ছিনতাই-ডাকাতিসহ যে কোনো অপরাধমূলক ঘটনার খবর মুহূর্তেই আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেবে 'সেলফ প্রোটেক্ট'। মোবাইলে যদি এ অ্যাপসটি থাকে তাহলে নির্দিষ্ট বাটনে চাপ দিলেই এ সুবিধা পাবেন যে কেউ। এ অ্যাপসটির উদ্ভাবন করেছেন চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন শাহীন।
'সেলফ প্রোটেক্ট' অ্যাপসটি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত, ছিনতাইকারির কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী ও নারীদের উত্ত্যক্তকারী এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কোনো অপরাধীকে ধরিয়ে দেয়া যাবে এবং অপরাধীর আক্রমণের শিকার ব্যক্তিকে দ্রুত সাহায্য ও সহযোগিতা করা যাবে। এছাড়া অ্যাপসটির মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের স্থান সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তবে অ্যাপসটির অপব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য পুলিশের কাছে চলে যাবে। কারণ অ্যাপসটি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
তরুণ উদ্ভাবক শাহীন বলেন, এটি ভিকটিমের মোবাইল ফোনের ব্যাক বাটন চাপার মাধ্যমে নিকটস্থ প্রশাসনিক দফতরে বার্তা বা নোটিফিকেশন প্রেরণ করবে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থানগত স্থান গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) মাধ্যমে জানা যাবে। বার্তাটি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার অ্যাপের স্ক্রিনে বা ড্যাশবোর্ডে পপ করে একটা শব্দ হবে। তারপর সার্ভারে নোটিফিকেশনের সঙ্গে প্রাপ্ত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ মান অনুযায়ী বোঝা যাবে ভিকটিমের অবস্থান, যা আরও সহজে আইনশৃংখলা বাহিনীর বোঝার জন্য নোটিফিকেশনটি গুগল ম্যাপসহ দেখাবে অপরাধ সংঘটিত স্থানটি। ঘটনার পর ছিনতাইকারী বা ডাকাত দল মোবাইলটি নিয়ে গেলেও আধঘণ্টা পর পর আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে বার্তা আসতে থাকবে। এমনকি মোবাইলের সিম কার্ডটি পরিবর্তন করা হলেও একই কাজ করবে মোবাইল ফোন।
তরুণ উদ্ভাবক সাদ্দাম হোসেন শাহীন মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে। তিনি জানান, 'উদ্ভাবিত অ্যাপসটির প্রাথমিক কাজ শেষ। এখন শুধু সরকারের অনুমতি এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদিচ্ছা থাকলেই অ্যাপসটি কার্যকর করা যাবে। বর্তমানে অ্যাপসটিকে আরও সহজীকরণ ও উন্নয়নের কাজ চলছে।'